নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, কোনো সিলেকশন হবে না। ভোট সুষ্ঠু, অবাধ-সুন্দর হতে হবে। ভোটারের ভোট দিতে হবে। ব্যাটল পেপারের যে অংশটা ভোটারকে দেওয়া হবে- সেটাতে আগে শুধু একটা সিল দিতে হতো। এবার সেখানে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের সাক্ষর থাকতে হবে। এটাও আমরা নতুন সংযোজন করেছি আইনে। এটা ছাড়া জোর করে কেউ ভোট দিলেও সেই ভোট গণনা হবে না। সেই ভোট বাতিল এবং অবৈধ ভোট হিসেবে গণ্য হবে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান এবং কারা এমপি হবেন সেই তালিকা হয়েগেছে- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ইসি আনিছুর বলেন, ওনার কাছে যদি তালিকা থাকে প্রকাশ করতে বলেন। এটা আমরা বলবনা কিছু। যারা দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচনী, তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী- কোনো দলের বা সরকারের কর্মচারী না। সংবিধানে বলা আছে নির্বাহী বিভাগের সবার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেওয়া। নির্বাচন কমিশন যাকে যেখানে দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন, তাকে সেখানে দায়িত্ব দিয়েছে। সেই দায়িত্ব যদি পালন না করে- অপরাধ যেটা হবে, সে অপরাধের জন্য দায়ী হবেন।
সরকার দলীয় প্রার্থীদের প্রটোকল নিয়ে প্রচারণা চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে কতটুকু প্রটোকল পাবেন- সেটি মতবিনিময় সভায় বলে দিয়েছি। আশা করছি আপনারা আর দেখবেন না এটা।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে ইসি আনিসুর রহমান বলেন, ২৯ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নির্বাচনী এলাকাগুলোতে টহল দেবেন। তারা একজায়গায় থাকবে না, সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে-বেড়াবে। যেখানে সহায়তা দরকার, তারা সহায়তা দেবে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ ও ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।